জর্ডানের নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের উত্থান ঘটেছে। দেশটির প্রধান ইসলামপন্থী বিরোধী দল এবারে নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩১টি আসনে জয়ী হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গ্রহণের পর বুধবার ১৩৮ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট নির্বাচনে তাদের আসন সংখ্যা তিনগুণ বাড়িয়ে এখন পার্লামেন্টে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
দলের নেতা ওয়ায়েল আল-সাক্কা বলেন, ‘জর্ডানি জনগণ আমাদেরকে বিশ্বাস করে আমাদের ভোট দিয়েছে। এই নতুন পর্যায়টি জাতি এবং আমাদের নাগরিকদের প্রতি দলের দায়দায়িত্বের বোঝা বাড়িয়ে দেবে।’
জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মুরাদ আদাইলাহ বলেন, নির্বাচনে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদেরকে যারা ভোট দিয়েছেন, তারা সবাই ইসলামপন্থী নন। তবে তারা পরিবর্তন চান। তারা পুরনো ব্যবস্থায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
মুসলিম ব্রাদারহুড ১৯৪৬ সাল থেকে জর্ডানে কাজ করার অনুমতি পেয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে দলটি নিষিদ্ধ।
ইসলামিক ফ্রন্ট হামাসকে সমর্থন করে এবং ইসরাইলের সাথে জর্ডানের শান্তিচুক্তির অবসান চায়।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
দলটি বেশিভাগ আসন পেয়েছে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত নাগরিকদের ঘনবসতিপূর্ণ নগরীগুলোতে। তবে পার্লামেন্টের আসন বিন্যাসে কম বসতিপূর্ণ উপজাতীয় এবং প্রাদেশিক অঞ্চলগুলোকে বেশি আসন দেয়া হয়েছে।
জর্ডানের সংবিধান অনুযায়ী, বেশিভাগ ক্ষমতা বাদশাহর হাতে। তিনি সরকার গঠন করেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারেন। তাছাড়া অনাস্থা ভোটের মাধ্যমেও মন্ত্রিসভার পতন ঘটানো সম্ভব।
সূত্র : আরব নিউজ
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ