ভাদ্র মাস প্রায় শেষ। মৃদু তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে বিদ্যুৎতের এ অবস্থা। দেশের কোনো কোনো শহরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিললেও, গ্রামে দিন-রাত মিলে ৬-৮ ঘণ্টারও কম সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের যাওয়া-আসার কারণে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জনমনে। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষ চায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়াতে না পারলেও যাতে না কমে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। শুধু বিদ্যুৎ নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারলেও যাতে না বাড়ে সেদিকে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বিদ্যুতের লোডশেডিং অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ দুই বিভাগের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। প্রতিষ্ঠানটি জানাচ্ছে, গতকাল সোমবার থেকে জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই গ্রাহককে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রর উৎপাদন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ভারতের সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা থাকলেও মিলছে ৮৮০ মেগাওয়াট। আলোচিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও ৪০০ মেগাওয়াট কম আসছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের মধ্যে সচল থাকা তৃতীয় ইউনিটে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আগে থেকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ ছিল।
এসব কারণে গত এক সপ্তাহ থেকে সারাদেশে চলছে লোডশেডিং। বেড়েছে ভোগান্তি। তবে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে। গ্যাস সঙ্কট ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিতরণ কোম্পানিগুলো জানায়, চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎও মিলছে না। তাই লোডশেডিং বেড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বিদ্যুৎ বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। গত সোমবারও দেশে গড়ে ১ হাজার ২৯১ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩ হাজার ৫৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ আছে। জ্বালানি সংকটে দেশে ৬ হাজার ২৮৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। বিদ্যুতে প্রতিদিন গড়ে ৮৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হচ্ছে, যা এপ্রিলে ছিল ১৩৫ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। পেট্রোবাংলা প্রতিদিন সরবরাহ করছে ২৫৯ ঘনফুট গ্যাস। জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে। ত্রিপুরা থেকে ঘণ্টায় ১৬০ মেগাওয়াটের স্থানে ৬০ থেকে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা থাকলেও মিলছে ৮৮০ মেগাওয়াট। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও ৪০০ মেগাওয়াট কম আসছে। পিজিসিবির তথ্যমতে, গতকাল বেলা ৩টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১২ হাজার ৭৮৮ মেগাওয়াট। দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট।
দেশজুড়ে বিদ্যুৎ ভোগান্তি: কুড়িগ্রাম জেলায় ৯টি উপজেলায় ঘন ঘন লোডশেডিং চলছে এক সপ্তাহ ধরে। এতে সেচ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। উলিপুর শহরের তরঙ্গ কম্পিউটার ব্যবসায়ী শাহিন সরকার বলেন, সকাল থেকে বিদ্যুৎ গেছে চারবার। দোকানো কাজ করতে পারছি না, ক্রেতারা ঘুরে যাচ্ছে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী জীবন চন্দ্র রায় ইনকিলাবকে বলেন,আসলে জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৬৮ মেগাওয়াট। আর বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৩৮ মেগাওয়াট। ঘাটতি পূরণে ৮টি ফিডে রুটিন করে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। চিলমারী হাসান জানান, প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। পরে কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ পেলেও রাত আড়াইটা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত আবার বিদ্যুৎহীন। হবিগঞ্জর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। দিনের তুলনায় রাতে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস জানায়, বানিয়াচং উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট। আর পাওয়া যাচ্ছে ৯ থেকে ১০ মেগাওয়াট। উপজেলার নন্দীপাড়ার মহিনুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে।
রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উত্তরের ১৬ জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ও নেসকো মিলে বিদ্যুতের চাহিদা ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। কিন্তু দু’দিন ধরে সরবরাহ মিলছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। রংপুর বিভাগের আট জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ও নেসকো মিলে চাহিদা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ মেগাওয়াটের কম বিদ্যুৎ। রাজশাহী বিভাগে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সরবরাহ কম থাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বগুড়া শহরের ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ঠিকমতো বেচাবিক্রি করা যাচ্ছে না। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বগুড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা ১০৫ মেগাওয়াট। আর জাতীয় গ্রিড থেকে মিলছে ৫০ থেকে ৬০ মেগাওয়াট।
নীলফামারীতে লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পকারখানায় উৎপাদন। ছোট ছোট উদ্যোক্তারা পড়েছেন ক্ষতির মুখে। শুধু তাই নয়, লো-ভোল্টেজে ঝুঁকি নিয়ে মিল-কারখানা চালাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক মোটর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। ঢেলাপীরের কাদিখোল এলাকার ইকু জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুল আলম জানান, তার কারখানা থেকে পণ্য রপ্তানি হয় ভারত, নেপাল, ভুটারসহ বিভিন্ন দেশে। দেড় মাস ধরে লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না।
গাইবান্ধার পাঁচ উপজেলার অনেক এলাকায় রাতে দুই-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। আবু তালেব বলেন, লোডশেডিংয়ে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। গরমের কারণে রাতে ঘুমাতেও পারি না। বিদ্যুতের ওপরই আমাদের ব্যবসা। বিদ্যুৎ ঠিকমতো না পাওয়ায় ব্যবসা করতে পারছি না।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
নেসকো গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান জানান, চাহিদার তুলনায় তিনিও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন কম। তাই ঘাটতি পূরণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকোর থেকে বলা হয়,ঢাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৪০০ মেগাওয়াট। পরিস্থিতি সামলাতে ডেসকোকে অঞ্চলভেদে ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিং করতে হয়। ডিপিডিসির এলাকায় দুই থেকে তিনবার লোডশেডিং হয়। মোহাম্মদপুরের রোকসাানা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দুইবার বিদ্যুৎ যায়। একবার এক ঘণ্টা আরেকবার দেড় ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ ছিল না। রংপুর মহানগরীর দুইটি সমিতির প্রতিটির আওতায় গড়ে ৫ থেকে ৭ লাখ গ্রাহক এবং ৮ থেকে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে। প্রতিটি সমিতিতে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৭০ থেকে ১২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। কিন্তু চাহিদার অনেক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে সমিতিগুলো। ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৩০-৪০ মেগাওয়াট। একই অবস্থা রংপুর জেলা ও বিভাগের অন্য জেলাগুলোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরও।
এদিকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রর উৎপাদন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের মধ্যে সচল থাকা তৃতীয় ইউনিটেও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আগে থেকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ ছিল। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ১ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনালের সাথে পাঁচ বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উৎপাদনের চুক্তি হয়। যার মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে। চুক্তি মোতাবেক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সচল রাখতে ছোট ধরনের মেরামত ও যন্ত্রাংশ সরবরাহের কথা থাকলেও তার কিছুই করেননি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজ ব্যহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রতিটি ইউনিট সচল রাখতে দু’টি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দরকার হয়। এর মাধ্যমে এসব ইউনিটের জ্বালানি তেল সরবরাহ করে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই তিনটি ইউনিটের দু’টির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট থাকায় যেকোনো সময় বন্ধের ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প হিসেবে একটি ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দিয়ে চলে আসছিল এর উৎপাদন কার্যক্রম। ফলে মাঝে মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হতো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। বড়পুকুরিয়া কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ইনকিলাবকে বলেন, এক মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট থেকে এ উৎপাদন শুরু হয়। যা দু’দিন পরেই আবার বন্ধ হয়ে গেল। একটি পাম্প দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই একটি পাম্পও সোমবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর দিনব্যাপী চেষ্টা করেও চালু করা সম্ভব হয়নি। চীন থেকে মেশিন এলেই উৎপাদন শুরু করা যাবে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ