Home আন্তর্জাতিক গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন শর্ত প্রত্যাখ্যান করল হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন শর্ত প্রত্যাখ্যান করল হামাস

গাজায় গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীফাইল ছবি: রয়টার্স।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নতুন শর্ত উপস্থাপন করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ওই নতুন শর্ত মানতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে হামাস।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

হামাসের মুখপাত্র বাসেম নাইম বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা নতুন শর্ত আরোপের মাধ্যয়ে আলোচনার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হামাস মধ্যস্থতাকারীদের কাছে বন্দীদের বিষয়ে বা অন্য কোনো বিষয়ে নতুন কোনো শর্ত উপস্থাপন করেনি। বরং চলতি বছর ২ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে প্রস্তাবনা রেখেছিলেন, সেটার প্রতিই আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করেছে। আর ওই প্রস্তাবনার মূল ভিত্তি ছিল জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন নম্বর ২৭৩৫ এর উপর।

তিনি আরো বলেন, আমরা অবিলম্বে এই চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবনা পেশ করেছিল। তার ছিল তিন ধাপ। ইসরাইল নিজে এই প্রস্তাব ঘোষণা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টেলিভিশন ভাষণে এই রূপরেখা তুলে ধরেন। বাইডেনের ঘোষিত নতুন প্রস্তাবে তিনটি পর্যায় বা ধাপের কথা বলা ছিল। তা হলো,

প্রথম পর্যায়টি ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হবে। এ সময় যেসব কাজ হবে তার মধ্যে থাকবে : পূর্ণ ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি; গাজার সকল জনবহুল এলাকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার; নারী, বয়স্ক ও আহত পণবন্দীদের মুক্তি এবং ইসরাইলি কারাগার থেকে কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তিলাভ। গাজায় আটক আমেরিকান বন্দীদেরও এ সময় মুক্তি দেয়া হবে।এছাড়া নিহত কয়েকজন বন্দীর মৃতদেহও তাদের স্বজনদের কাছে ফেরত দেয়া হবে।

ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজন গাজার সব এলাকায় তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবে। উত্তর গাজাতেও তারা ফিরে যেতে পারবে। প্রতিটি দিনে ৬০০ ট্রাকভর্তি সাহায্য গাজায় প্রবেশ করবে।

আরও পড়তে পারেন-

যুদ্ধবিরতির ফলে সাহায্য নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে অভাবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায কয়েক লাখ সাময়িক আশ্রয়, হাউজিং ইউনিটসহ প্রদান করবে।

এই ছয় সপ্তাহের বিরতির সময় ইসরাইল ও হামাস দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য আলোচনা করবে। আর তা বৈরিতা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা করবে। তবে আলোচকদের যদি ছয় সপ্তাহের বেশি সময় লাগে, তবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এই সময়ের পরও অব্যাহত থাকবে। সকল চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার কাজ করে যাবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট সকল জীবিত পণবন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে। এদের মধ্যে ইসরাইলের পুরুষ সৈন্যরাও থাকবে। ইসরাইলি বাহিনী গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নেবে। হামাস যত দিন তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করবে, তত দিন এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে। ফলে এই চুক্তিই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পরিণত হবে, বৈরিতার স্থায়ী অবসান হবে।

তৃতীয় পর্যায়ে গাজায় বড় ধরনের পুনর্গঠন হবে। এই পর্যায়ে পণবন্দীদের মধ্যে যারা মারা গেছে, তাদের কারো মৃতদেহ গাজায় থেকে থাকলে তা ফেরত দেয়া হবে।

সূত্র : আল জাজিরা

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।