রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের (২৭) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের ৪৪ দিন পর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রংপুর নগরীর শালবন মিস্ত্রীপাড়া কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম আরিফ হোসেনের উপস্থিতিতে সাজ্জাদ হোসেনের মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ সময় মামলারতদন্ত কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালেদ হোসেনসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আরিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে সাজ্জাদ হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করে আবারো দাফন করা হয়েছে।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অপু উকিলকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় ৫১ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০০ জনকে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
নামীয় অন্য আসামিদের মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বাধ্যতামূলক অবসর) মো. মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাবেক জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
১৯ জুলাই (শুক্রবার) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীর রাজা রাম মোহন মার্কেটের সামনে ১-১০ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য নামীয় ও অজ্ঞাত আসামিদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তার লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে আসামিদের বাঁধার মুখে পড়েন বাদী। পরে বাধ্য হয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করা হয়।
১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নগরীর সিটি বাজার সংলগ্ন রাজা রাম মোহন মার্কেটের সামনে গুলিতে নিহত হন সাজ্জাদ হোসেন। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, নিহত সাজ্জাদ হোসেন একজন ব্যবসায়ী।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ