Home আন্তর্জাতিক গাজায় নৃশংসতা সত্ত্বেও ইসরাইলকে সেবা দিচ্ছে মিশর

গাজায় নৃশংসতা সত্ত্বেও ইসরাইলকে সেবা দিচ্ছে মিশর

গত বছরের অক্টোবর মাসে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি পণ্য আমদানি-রপ্তানির কাজে মিশরীয় সমুদ্র বন্দরগুলো ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একটি মুক্ত তদন্তের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আরবি পোস্ট পত্রিকা। গত তিন মাসে ১৯টি জাহাজের তৎপরতা ও তাদের চলাচলের রুট পর্যবেক্ষণ করে পত্রিকাটি এ খবর দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ওই জাহাজগুলো বিগত মাসগুলোতে ইসরাইল ও মিশরীয় বন্দরগুলোর মধ্যে আসা-যাওয়া করেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য এনে মিশরীয় বন্দরগুলোতে খালাস করা হয়েছে এবং পরে সেখান থেকে সুবিধামতো এসব জাহাজে করে সেসব পণ্য ইসরাইলে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ঘোষণা দিয়ে হামলা শুরু করে ইয়েমেনে হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন। তবে মিশরগামী জাহাজে হুথিরা হামলা চালায়নি। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইসরাইলি পণ্য প্রথমে এসে মিশরের বন্দরগুলোতে নেমেছে এবং সেখান থেকে সুযোগমতো ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবে গাজায় ইহুদিবাদীদের ভয়াবহ গণহত্যা চলার একই সময়ে ফিলিস্তিনসহ গোটা মুসলিম উম্মাহর শত্রু ইসরাইলের সেবা করেছে মিশর।

আরও পড়তে পারেন-

আরবি পোস্ট জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মিশরের বন্দরগুলো থেকে ইসরাইলি বন্দরগুলো বিশেষ করে অ্যাশদোদ ও হাইফা বন্দরে নিয়মিত পণ্য পরিবহন করা হতো। গাজা থেকে অ্যাশদোদের দূরত্ব মাত্র ২৯ কিলোমিটার। মিশরের যেসব বন্দরকে ইসরাইলের সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে সেসব বন্দরের কয়েকটি হচ্ছে, পোর্ট সাঈদ, আবু কির, আলেক্সান্দ্রিয়া, দেখেইলা এবং দামিয়েত্তা।

এছাড়া যে ১৯টি জাহাজ ইসরাইল ও মিশরীয় বন্দরগুলোর মধ্যে পণ্য পরিবহন করেছে সেসব জাহাজের মধ্যে সাতটি কন্টোইনার জাহাজ, ছয়টি সিমেন্ট-বাহী জাহাজ, পাঁচটি কার্গো জাহাজ এবং একটি বাল্ক জাহাজ। এসব জাহাজ পানামা, লাইবেরিয়া, ইসরাইল, মিশর, এন্টিগা ও বার্মুদা, সিঙ্গাপুর এবং সেন্ট কিটস ও নেভিসের পতাকা বহন করেছে। ইসরাইল ও মিশরের মধ্যে জাহাজ চলাচলের এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে আরবি পোস্ট জানিয়েছে।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।