ফেনী জেলায় বন্যার পানি পরশুরাম, ছাগলনাইয়াতে ধীরে কমতে শুরু করলেও জেলা শহরের প্রায় সর্বত্র প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ছাড়াও ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডেই বন্যায় নিমজ্জিত।
শুক্রবার ফেনী জেলা প্রশাসন এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জেলায় তিন লাখ মানুষ বন্যা আক্রান্ত। এ পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
একই সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ১ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খিচুড়ী ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস এবং ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে উদ্ধার কাজ চলমান। বন্যাদুর্গত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধার তৎপরতা উল্লেখযোগ্যহারে লক্ষ্য করা গেছে।
চট্টগ্রামস্থ একজন স্বেচ্ছাসেবক সাজ্জাদ রাকিব জানান, ‘ফেনীর স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ছাড়াও ফেনীর বাইরে থেকে আসা হিউম্যান এইডস, ড্রিমটাচ বাংলাদেশ, একজন বাংলাদেশ, ফেনী ক্লাব ঢাকা, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশনসহ বেশকিছু সংগঠন নিজ উদ্যোগে স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে এবং শুকনো খাবার সরবরাহ করছে।’
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
জেলা প্রশাসক জানান, এ পর্যন্ত সাড়ে ৫০০ টন চাল এবং ১০ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে
উল্লেখ্য, জেলার বেশিরভাগ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ দুই-তৃতীয়াংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পরিবার-পরিজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকন্ঠার আছেন। সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ায় স্থানীয় গণমাধ্যমর্কর্মীগণেরও সংবাদ সংগ্রহ ও সরবরাহ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
সূত্র : বাসস
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ