হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদীর সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে ১৯১ সেন্টিমিটার, শায়েস্তাগঞ্জে ১৫৩ সেন্টিমিটার ও শহরতলীর মাছুলিয়ায় ১৬৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাঁচটি উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে আট হাজার ২৪০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, ৩৭৩ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, ছয় হাজার ৭২৬ হেক্টর আবাদকৃত রোপা আমন, এক হাজার ৯৪৫ হেক্টর আউশ ও ৪৬৮ হেক্টর শাকসবজি বিনষ্ট হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ জংশনের অদূরে লস্করপুরে খোয়াই নদীর ওপর রেলওয়ে ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সিলেটের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গত তিন দিনের অবিরাম বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানিতে বন্যা দেখা দেয়। এতে খোয়াই বাঁধের জালালাবাদ ও লস্করপুরে ভাঙন দিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অফিস সূত্র জানায়, জেলায় ৩৩ হাজার ৪৬৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪০ জন আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ৯৬৫ টন চাল, ১৫৬০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ