অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি বিশেষ মহল সাম্প্রদায়িক বিষয়কে চাঙ্গা করছে। সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে অপপ্রচার রোধে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে আমরা কোনো দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়, এমন সুযোগ দেব না।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসাধীন আহত রোগীদের দেখতে যান। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্য এক প্রশ্নে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা উপাসনালয়ে হামলা করে বা আমাদের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ভাইদের ঘর আক্রান্ত করে, আমরা এদের ক্রিমিনাল মনে করি এবং দিজ ক্রিমিনালস উইল বি পানিশড বাই দ্য এক্সিসটিং ল।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমানরা আমরা একই আইনের অধীনে পরিচালিত হই।
আমার যেমন অধিকার আছে, একজন হিন্দু, বৌদ্ধ ভাইয়েরও সেই অধিকার আছে। আমরা অধিকারটা এক্সারসাইজ করতে চাই। আমি আজকেও সার্কিট হাউসে হিন্দু ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তাদেরকে অ্যাসিওর করেছি, কোনো ধরনের ডিসক্রিমিনেশন হবে না। নাগরিক অধিকার প্রত্যেকে সমানভাবে পাবে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
চমেক হাসপাতালে এখনো ৩০ জন আহত বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। আহতদের দেখা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার পর ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘আহতদের মধ্যে তিন-চারজন আইসিইউতে আছেন। আহতদের চিকিৎসার ভার সরকার নিয়েছে। প্রয়োজনে বিদেশেও পাঠানো হবে।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আহতদের নগদ সহায়তা দিচ্ছে। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তারা ইতিমধ্যে দিয়েছে। এখানে আজকেও যে ৩০ জনের মতো আছে, আমরা আজকেই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা করব। ১৫-২০ লাখ টাকা দেব।’
এ সময় তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আহত ও নিহতের সংখ্যা নথিভুক্ত করতে একটি ফাউন্ডেশন করা হবে।
হাসপাতালে ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রমুখ।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ