Home ইসলাম স্বেচ্ছাসেবা প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) যা বলেছেন

স্বেচ্ছাসেবা প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) যা বলেছেন

 মাইমুনা আক্তার

সম্প্রতি এক নতুন বাংলাদেশ দেখেছে জাতি, যেখানে প্রতিটি মানুষের চোখেমুখে যেন দেশ গড়ার স্বপ্ন। সবাই যেন তাদের স্বপ্নের সোনার দেশটাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছে রাষ্ট্র মেরামতের কাজে। ছাত্রসমাজের পাশাপাশি আলেমসমাজেরও বহু মানুষকে দেখা গেছে রাস্তার শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে।

অনেকে আবার পরিবারসহই রাস্তার শৃঙ্খলা রক্ষা, রাস্তা পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েছে। কিছু দুষ্কৃতকারী ছাড়া দল-মত-নির্বিশেষে সবাই এখন নিজেদের দেশটাকে সাজাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। রাত জেগে এলাকা পাহারা দিচ্ছে। স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছে সানন্দে।

আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় মানুষের কল্যাণে স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়াও ইবাদত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এই কাজকে কল্যাণের কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৪)

এই কাজগুলো করতে গিয়ে মানুষের মধ্যে নতুন করে সামাজিক সম্প্রীতি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন-

ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হয়েছে, যা প্রতিটি মুসলিমসমাজে থাকা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতদের সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহ দিয়েছেন। নুমান ইবনু বাশির থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেছেন, মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো, যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার পুরো দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)

ঠিক এমনভাবে নতুন এই বাংলাদেশে আমাদের উচিত, প্রত্যেকে প্রত্যেককে ভালোবাসা। একে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসা।একে অন্যকে কল্যাণের পথে ডাকা, কোথাও কোনো অসৎ কাজ হলে তাতে বাধা প্রদান করা এবং কল্যাণের কাজগুলোতে একে অন্যকে সহযোগিতা করা। কারণ মহান আল্লাহ কল্যাণের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কল্যাণকর কাজে একে অন্যকে সহযোগিতা কোরো, পাপে তোমরা একে অন্যকে সহযোগিতা কোরো না।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ২)

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মানুষের উপকার করার চেষ্টা করা। কারণ যে অন্যের উপকারে আসে আমাদের নবীজি (সা.) তাকে উত্তম মানুষ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, মানুষের মধ্যে উত্তম তারা, যারা অন্যের উপকার করে। (তবরানি)

আমরা যদি এভাবে একে অন্যকে দেশ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সহযোগিতা করতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের দরবারে একটি শান্তিপূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ ও উন্নত দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবে।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।