সরকার চাইলে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সমস্যার সমাধান করতে পারতো, কিন্তু তা না করে ছাত্রদের ঝাপিয়ে পড়েছে, ছাত্রদের খুন করেছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ” বিএনপি, বিভিন্ন সমমনা দল ও দেশবাসীকে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই, দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের সাথে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান।”
‘আমরা এই আন্দোলনের সাথে জড়িত নই, ছাত্রদের ন্যায় সঙ্গত যৌক্তিক দাবিতে আমাদের সমর্থন আছে, থাকবে’ বলে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমা ও লাঠি রেখে অভিযানের নাটক করেছে। শিক্ষার্থীদের এই ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন ভিন্নখাতে নিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
আজ বায়তুল মোকারমের উত্তর গেটে গায়েবানা জানাযা শেষে সাংবাদিকের এ কথা জানান তিনি।
ঢাকা সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তান আমলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আন্দোলন দমন করতে চেষ্টা চালানো হতো।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
‘বায়তুল মোকাররম গেট বন্ধ করে গায়েবানা জানাযায় বাধা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নেতাকর্মীদের গেট থেকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান’ বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, সরকারের সন্ত্রাসী ও পুলিশ হামলায় ও গুলিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রংপুরের আবু সাইদ সহ সাতটি তরতাজা প্রাণ গেছে। এই ধরণের সন্ত্রাসী আমরা জীবনে কখনোও দেখনি। ছাত্রদের ন্যায় সঙ্গত দাবি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। কিন্তু শুধুমাত্র জেদের বর্শবর্তী হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হত্যাকান্ড ঘটিয়ে সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ