Home আন্তর্জাতিক আর্জেন্টিনার দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৫০ কোটি ব্যারেল তেল চুরির পরিকল্পনা ব্রিটেন ও ইসরাইলের

আর্জেন্টিনার দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৫০ কোটি ব্যারেল তেল চুরির পরিকল্পনা ব্রিটেন ও ইসরাইলের

ব্রিটিশ সরকার আর্জেন্টিনার ‘মালভিনাস’ দ্বীপপুঞ্জের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রেখে এখন সেখান থেকে কমপক্ষে ৫০ কোটি ব্যারেল তেল লুট করার পরিকল্পনা করেছে।

ব্রিটিশ সরকারের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা লিখেছে, ব্রিটেন দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ থেকে কমপক্ষে ৫০ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলনের পরিকল্পনা করেছে। পার্সটুডে জানিয়েছে, ব্রিটেনের এই পদক্ষেপের কারণে দখলদার ইসরাইল ও আমেরিকা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেন যে দ্বীপটি থেকে তেল উত্তোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেটির নাম লিওনেস মারিনোস। ঐ দ্বীপের তেলক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরাইলি কোম্পানি ‘নাভিটাস পেট্রোলিয়াম’। এই তেলক্ষেত্রটিতে ১৭০ কোটি ব্যারেলের বেশি তেল রয়েছে যা রোজব্যাঙ্ক তেলক্ষেত্রের (স্কটল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত) চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বলছে, দ্বীপবাসীরা রাজি হলে এই তেলক্ষেত্র থেকে ইসরাইল ব্যাপক লাভবান হতে পারবে। ব্রিটেনের পাশাপাশি এই তেলক্ষেত্র থেকে আমেরিকাও লাভবান হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের আমলে দেশটির পক্ষ থেকে ইসরাইলি তেল কোম্পানি নাভিটাস পেট্রোলিয়ামের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

আর্জেন্টিনার ‘মালভিনাস’ দ্বীপপুঞ্জকে ব্রিটেনরা ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নামে ডাকে। স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর আর্জেন্টিনার ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এই দ্বীপগুলোও ঔপনিবেশিকতার কবল থেকে মুক্ত হয়। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর পর ১৮৩০ সালের দিকে তৎকালীন ব্রিটিশ রাজা আর্জেন্টিনার কয়েকটি দ্বীপে আক্রমণ করে এবং সেখান থেকে আর্জেন্টিনার কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। এরপর দীপপুঞ্জের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেয় ফকল্যান্ড দীপপুঞ্জ।

আরও পড়তে পারেন-

এরপর থেকে আর্জেন্টিনার সরকার ও জনগণ তাদের ভূখণ্ড ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে, কিন্তু ব্রিটেন দ্বীপগুলো নিয়ে কোনও ধরণের আলোচনা শুরু করতেও রাজি হয়নি। ব্রিটেন অতীতের ঔপনিবেশিক আমলের মতো এখনও আর্জেন্টিনার দ্বীপপুঞ্জ দখলে রেখে উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছে।

দক্ষিণ আটলান্টিক সাগরে অবস্থিত এই দীপপুঞ্জকে আর্জেন্টিনার সমুদ্রসীমার অন্তর্ভুক্ত বলে ২০১৬ সালে স্পষ্ট রায় দিয়েছে জাতিসংঘের মহীসোপানের (মহাদেশগুলির প্রসারিত পরিসীমা অঞ্চল) সীমা নির্ধারণকারী কমিশন। ঐ রায়ের ফলে আর্জেন্টিনার সমুদ্রসীমা আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

কিন্তু ব্রিটেন জাতিসংঘের এই রায়কে তোয়াক্কা না করে দীপপুঞ্জে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে এবং ঐ অঞ্চলে সামরিক মহড়াসহ উসকানিমূলক নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাসসহ প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল ভাণ্ডার।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।