মার্কিন সরকারী কর্মকর্তারা যারা বাইডেন প্রশাসনের গাজা নীতির প্রতিবাদে প্রকাশ্যে পদত্যাগ করেছে তারা মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছেন যে, তারা ‘একটি একই বিশ্বাসে একত্রিত হয়েছেন যে প্রতিবাদ করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব’ এবং তারা এ বিষয়ে যে পদক্ষেপ নেয়া উচিত তার রূপরেখা দিয়েছেন। এটি মার্কিন সরকারের গ্রহণ করা উচিত বলে তারা মনে করেন।
১২ জন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা ওই যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন মার্কিন আইন লংঘন করার মাধ্যমে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং তাদের মিত্র এদেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সরকার নানা বাহানা ও ছিদ্রপথকে ব্যবহার করছে। বাইডেন প্রশাসন ও মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের কেউই তাৎক্ষণিকভাবে তাদের এই বিবৃতির ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ এবং মিত্র ইহুদী দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় বর্তমানে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ১২ কর্মকর্তার পদত্যাগ ইসরাইলকে মার্কিন সমর্থন নিয়ে সরকারের মধ্যে অসন্তোষের বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং হোয়াইট হাউস ও সামরিক বাহিনী থেকে এসব কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রে কূটনৈতিক ছত্রছায়া ও অব্যাহত অস্ত্র সরবরাহের ঘটনায় অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা ও অনাহারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করছে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি সমর্থনের জন্য বিদেশে এবং দেশে উভয়ই চাপের সম্মুখীন হয়েছেন – এ সংঘাতের কারণে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের জীবন হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ছিটমহল জুড়ে চরম ক্ষুধা নিয়ে এসেছে।
সূত্র: সিএনএন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ