বড় ধরনের বিপদ হলে অথবা আপনজন বা কারো মৃত্যুর খবর পেলে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের কর্তব্য। ধৈর্যের পাশাপাশি ‘ইন্নালিল্লাহ’ পড়া সুন্নত। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এটিকে মুমিনের বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আপনি ধৈর্য ধারণকারীদের সুসংবাদ দিন যাঁরা বিপদগ্রস্ত হলে বলে,
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
উচ্চারণ: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।
অর্থ: নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫)
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
হাদিস: উম্মুল মুমিনিন উম্মে সালামা (রা.) বলেছেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যখন কোনো বান্দা বিপদে পড়বে এবং নিম্নের দোয়া বলবে-
إنَّا لله وإنَّا إليه راجعونَ، اللهُمَّ أْجُرْني في مُصِيبتِي، وأَخْلِفْ لي خيرًا منها
উচ্চারণ : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। আল্লাহুম্মা জুরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ লি খাইরান মিনহা।
অর্থ : নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।
হে আল্লাহ, আপনি আমার বিপদের প্রতিদান দিন এবং আমাকে বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম কিছু দিন। মহান আল্লাহর তাকে তার বিপদের প্রতিদান দেবেন এবং বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম কিছু দেবেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৯১৮)
মহান আল্লাহ বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দিন এবং উত্তম বিনিম দিন।
উম্মাহ২৪ডটকম:এসএ