আহমাদ মুহাম্মাদ
ইসলাম চায় সমাজের বিত্তবানরা সুখে-দুঃখে অভাবী ও অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়াক। এ ক্ষেত্রে পরস্পর লেনদেনে কোমলতা কাম্য। অসচ্ছল ও অভাবীকে অবকাশ দিলে পাপ মোচন হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, জনৈক ব্যবসায়ী লোকদের ঋণ দেয়।
কোনো অভাবগ্রস্তকে দেখলে সে তার কর্মচারীদের বলত, তাকে ক্ষমা করে দাও, হয়তো আল্লাহ তাআলা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। এর ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৭৮)
হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি নবী করিম (সা.)-কে বলতে শুনেছি, একজন লোক মারা গেল, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি কি বলতে? সে বলল, আমি লোকদের সঙ্গে বেচাকেনা করতাম। ধনীদের অবকাশ (সুযোগ) দিতাম এবং গরিবদের হ্রাস (সহজ) করে দিতাম। কাজেই তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ২৩৯১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে এক ব্যক্তির রুহের সঙ্গে ফেরেশতা সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি কোনো নেক কাজ করেছ? লোকটি জবাব দিল, আমি আমার কর্মচারীদের আদেশ করতাম যে তারা যেন অসচ্ছল ব্যক্তিকে অবকাশ দেয়। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, অতঃপর তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো। (বুখারি, হাদিস : ২০৭৭)
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
উম্মাহ২৪ডটকম:আইএএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com
[দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন]