গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মুসলিমরা। আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনকে সমর্থন না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে ফের লড়বেন বাইডেন। কিন্তু গত ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার নেপথ্যে যেসব অঙ্গরাজ্যের বড় ভূমিকা ছিল, সেসবের অন্তত ছয়টি অঙ্গরাজ্যের মুসলিম নেতারা গতকাল শনিবার বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মুসলিমদের এককাট্টা করবেন তারা। তবে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিমরা কাকে সমর্থন দেবে, সেটি অবশ্য তারা স্পষ্ট করেননি। এসব রাজ্যের ভোটারদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মুসলিম ও আরব-আমেরিকান। আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের জয়ে তারা বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে।
গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলায় প্রতিদিন শত মানুষের প্রাণহানির মুখে আমেরিকার মুসলিমরা প্রতিবাদে সোচ্চার হন। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন যাতে আহ্বান জানান, সেই দাবি তোলেন তারা। কিন্তু বাইডেন এতে সাড়া না দেয়ায় ‘#অ্যাবানডন বাইডেন’ (বাইডেনকে ত্যাগ করো) নামে একটি প্রচারাভিযান শুরু হয় দেশটির মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য থেকে। এরপর মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের মাত্রা অবর্ণনীয় বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
তিনি বলেন, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে তাকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনকে সম্মান করতে হবে। গাজায় অনেক নিরপরাধ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। সেসব হত্যার ছবি ও ভিডিওগুলো সত্যি অমানবিক। সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের মাত্রা অবর্ণনীয়।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক নিউজ সাইট মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যারিস সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণে অনেক নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বাসিন্দারা আশঙ্কা করেছিলেন, ব্যারেজগুলো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দক্ষিণে একটি ইসরাইলি স্থল অভিযানের পূর্বাভাস। তাদের একটি সঙ্কুচিত এলাকায় কিংবা সম্ভবত মিসরে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করবে।
দুবাইয়ের বক্তৃতায় হ্যারিস গাজা-পরবর্তী সঙ্ঘাতের জন্য মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে একটি ঐক্যবদ্ধ গাজা ও পশ্চিমতীর দেখতে চাই। সেখানে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর ও আকাঙ্ক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে। তখন হামাসকে আর গাজা পরিচালনা করতে হবে না। সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে।
সূত্র : আল-জাজিরা।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ