অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরাইল। হামাস ও ইসরাইল নিজ নিজ অবস্থানে অটল থাকার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধ আবার শুরু হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে একেবারে শেষ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ করার কথা ঘোষণা করে ইসরাইল। এবার এক দিনের জন্য এই যুদ্ধবিরতি বাড়ছে। উল্লেখ্য, প্রথমে চার দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। পরে দুদিন তা বাড়ে। এবার এক দিন বাড়ল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা) এতে সম্মত হওয়ার কথা জানায়। এর আগে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানায়, তারা তাদের যোদ্ধাদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র, কাতারসহ আন্তর্জাতিক মধ্যস্ততাকারীরা যুদ্ধবিরতির জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালাতে থাকে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে এক ঘোষণায় বলে, ‘পণবন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে মধ্যস্ততাকারীদের প্রয়াসের আলোকে এবং চুক্তির শর্তাবলী পালনসাক্ষেপে’ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
হামাস পৃথক বিবৃতিতে বলে, সপ্তম দিনে যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণের ব্যাপারে একমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি এবার সম্প্রসারিত হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।
হামাস সপ্তম দিনে অর্থাৎ আজকে আরো সাত নারী ও শিশু এবং তিন ইসরাইলির লাশ ফেরত দিতে চেয়েছিল। হামাস দাবি করছে, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এসব ইসরাইলি বন্দী নিহত হয়েছে। তবে ইসরাইল অন্য কিছু বন্দীর মুক্তির দাবির ওপর জোর দিচ্ছিল।
গত ছয় দিনে হামাস ৭০ ইসরাইলিকে মুক্তি দিয়েছে। তারা প্রধানত নারী ও শিশু। এছাড়া তিনজন দ্বৈত ইসরাইলি নাগরিক, ২৪ জন বিদেশী নাগরিককে হামাস চুক্তির বাইরে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে মুক্তি দেয়। আর ইসরাইল ২১০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়। তারা প্রধানত নারী ও শিশু।
সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, সিএনএন এবং অন্যান্য।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ