ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন মোট ১২ জনকে মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন ইসরাইলি এবং দুজন থাই নাগরিক। থাইল্যান্ডের দুজনকে কোনো বিনিময় ছাড়া স্রেফ শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে মুক্তি দিয়েছে হামাস। আর চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি একজন ইসরাইলির বিপরীতে তিনজন ফিলিস্তিনির মুক্তি হিসেবে ৩০ জনকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণের দিনে এদের মুক্তি দেয়া হয়। শুরুতে চার দিনের যুদ্ধবিরতি ছিল। পরে তা দুদিন বাড়ানো হয়। আজ বুধবার যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। তবে কাতারের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা চলছে।
হামাস যাদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে ৯ জন নারী এবং একজন শিশু।
প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স ক্লাব জানিয়েছে, ইসরাইল তাদের কারাগার থেকে ১৫ নারী ও ১৫ শিশুকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪ বছর বয়স্ক আহমদ সালেমও রয়েছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
মুক্তির পর তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে বলে দিয়েছে মুক্তির পর কোনো আনন্দ করা যাবে না, বাড়ি থেকে কোথাও যাওয়া যাবে না, কোনো ব্যানার বা সাইন তোলা যাবে না, মেগাফোন ব্যবহার করা যাবে না। যদি করি, তবে আমাকে আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, আমরা খুবই খুশি। কিন্তু আমাদের খুশি অসম্পূর্ণ। কারণ গাজায় যারা মারা গেছে, তারা আহত হয়েছে, যারা নিখোঁজ রয়েছে, তাদের জন্য আমরা শোকাহত।
হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৪০ জনকে গাজায় নিয়ে আসে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় কেবল নারী ও শিশুদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সূত্র : আল জাজিরা
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com
দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।