।। আহমাদ ইজাজ ।।
হাদিস শরিফে আজান ও ইকামতের মধ্যে দোয়া করার প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ সময় দোয়া করলে তা কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেন, আজান ও ইকামতের মাঝে দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৩৪)
আজান ও ইকামতের মধ্যে দোয়া কবুলের বিষয়ে মহানবী (সা.) আরো বলেন, আজান ও ইকামতের মাঝে দোয়া কবুল হয়, সুতরাং তোমরা দোয়া করো।(সহিহুল জামে, হাদিস : ৩৪০৫)
যদি আলাদাভাবে দোয়া করা না যায়, তাহলে অন্তত আজানের দোয়া পাঠ করতে ভুল করবে না। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে, কিয়ামতের দিন সে আমার সুপারিশের অধিকারী হবে। (বুখারি : ৬১৪)
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
দোয়াটি হলো :
اللَّهُمَّ رَبَّ هذِه الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، والصَّلَاةِ القَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الوَسِيلَةَ والفَضِيلَةَ، وابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الذي وعَدْتَهُ.
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ-দাওয়াতিত-তাম্মাহ, ওয়াস-সালাতিল কায়িমা আতি মুহাম্মদানিল ওয়াসিলাতি ওয়াল-ফাদিলাহ ওয়াবআসহু মাকামাম-মাহমুদা-নিলজি ওয়াদতাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ, (আপনিই) এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের মালিক, মুহাম্মদ (সা.)-কে ওয়াসিলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাঁকে সেই সম্মানিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার অঙ্গীকার আপনি করেছেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ