সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে তাকে বিদেশ নেওয়া প্রয়োজন। তার মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি।
সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এ কথা জানান।
মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এসএম সিদ্দিকী বলেন, এখন খালেদা জিয়ার যে অবস্থা, তাতে করে তাকে বাসায় নেওয়া যাবে না। এখানকার চিকিৎসকরা তাদের সাধ্য অনুযায়ী যা করার করেছেন। এখন তাকে বিদেশে নিতেই হবে। এতে তার জীবন রক্ষা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার এখন যে শারীরিক অবস্থা, তার লিভারে পানি জমেছে। সেই পানি ঝরছে। লিভারে জীবাণু আক্রান্ত হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তাকে বাইরে নেওয়া দরকার।
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আর বাসায় নেওয়ার মতো অবস্থা নেই বলে জানান ডা. সিদ্দিকী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই নাজুক যে, তাকে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল। এখন সেগুলোতেও কাজ করছে না। খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য আরও দুই বছর আগেই তাকে দেশের বাইরে নেওয়া উচিত ছিল বলে জানান এসএম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, এখানকার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। চিকিৎসকদের আন্তরিক চিকিৎসায় তিনি এখনো বেঁচে আছেন। কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। খালেদা জিয়ার ভালো চিকিৎসার এখনো সুযোগ আছে। সেটি দেশের বাইরে। খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতেই হবে। তাকে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া দরকার। দেশের বাইরে এর ব্যবস্থা আছে।
বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চটুকু করেছে। তাদের আর কিছু করার নেই। এখন বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে তাকে বাইরে নিতে হবে।
গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ