ভারতে ফের ধর্মকে কেন্দ্র করেই উসকে উঠল বিতর্ক। গেরুয়া চাদর পরিয়ে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে সেখানকার এক ইমামকে। শুধু তাই নয়; নির্দেশ না মানায় রীতিমতো মারধরও করা হয়েছে তাকে।
শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদ প্রতিদিন। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে। আর এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন স্থানীয় তিন হিন্দু যুবক।
নির্যাতিত ওই ইমামের নাম মুজিবুর রহমান। প্রদেশের বাঘপত এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে ফেরার সময়ই এমন আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
ইমামের অভিযোগ- ফেরার পথেই তার পথ আটকায় তিন যুবক। ওই যুবকেরা একটি গেরুয়া চাদর জড়িয়ে দেয় তার গলায়। ধমকের সুরে তাকে নির্দেশ দেয়া হয় ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য। শুধু তাই নয়, তাকে ‘হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ’ বলতেও বলা হয় কিন্তু তিনি কথা বলতে রাজি হননি। পরে তাকে মারধর করা হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন আক্রান্ত ইমাম। তবে থানায় তার অভিযোগ নিতে টালবাহানা করা হয় বলেই দাবি করেছেন তিনি। এরপর সরাসরি পুলিশের সুপারিনডেন্টের সাথে যোগাযোগ করেন তারা। উপরমহলের হস্তক্ষেপে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তিন অভিযুক্তের মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার অর্পিত বিজয়ভার্গিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই অভিযুক্তের নাম রাহুল কুমার এবং জিতেন্দ্র কুমার। দুজনেই বাঘপত এলাকার বাসিন্দা।
কোনো মুসলিম ব্যক্তিকে দিয়ে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে- এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে। বিশেষকরে উত্তরপ্রদেশে এহেন সাম্প্রদায়িক বিতর্ক একেবারেই নতুন নয়। বাঘপত এলাকাটি ২০১৩ সালে মুজফফরনগরের হিংসার সময়েও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, বিবাদের ঘটনার একাধিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। এটি সেই তালিকাতেই নতুন আরেকটি ঘটনা।
উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ