।। মুফতি আবদুল্লাহ নুর ।।
যখন কোনো নিখোঁজ ব্যক্তির ব্যাপারে ইসলামী রাষ্ট্রের আদালত মৃত বলে রায় দেন, বা মৃত্যুর স্পষ্ট দলিল পাওয়া যায় বা মৃত্যুর প্রতি ইঙ্গিতকারী প্রবল নিদর্শন প্রকাশ পায়, তবে ব্যক্তির ওপর মৃত ব্যক্তির বিধান প্রযোজ্য হবে। যেমন তার স্ত্রীর ইদ্দত পালন করা, তার রেখে যাওয়া সম্পদ বণ্টন করা ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে, মৃত হওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতই প্রদান করবে। (জাদুল মুস্তাকনি : ১৩/৩৭৪)
এমন নিখোঁজ ব্যক্তি যাকে মৃত বলে আদালত রায় দিয়েছেন, তার পক্ষ থেকে হজ বা ওমরাহ করা বৈধ।
কেননা মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ ও ওমরাহ করা বৈধ। চাই ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হোক বা নফল হোক। যদি নিখোঁজ ব্যক্তি এই পরিমাণ সম্পদ রেখে যায়, যা দিয়ে হজ সম্পন্ন করা যায়, তবে তার ওয়ারিশদের উচিত তার পক্ষ থেকে হজ করা। ইমাম শাফেয়ি (রহ.)-এর মতে ওয়ারিশদের জন্য তার পক্ষ থেকে হজ করা ওয়াজিব।
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
ওয়ারিশরা নিজে বা কারো মাধ্যমে তার পক্ষ থেকে হজ আদায় করলে ব্যক্তির পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। (রাওদাতুত তালিবিন : ৩/১২)
নিখোঁজ ব্যক্তির পক্ষ থেকে অন্য কেউ হজ করার পর যদি সে ফিরে আসে বা তাঁর বেঁচে থাকার প্রমাণ মেলে, তবে হজের ব্যাপারে তার দায়মুক্তি ঘটবে না। কেননা তার পক্ষ থেকে হজ করা হয়েছিল অনুমানের ভিত্তিতে আর তাঁর বেঁচে থাকা বাস্তবতা। বাস্তবতার বিপরীতে অনুমানের কোনো মূল্য নেই।
সুতরাং তার যখন সামর্থ্য হবে, তখন হজ করতে হবে। (আল-আশবাহ ওয়ান-নাজায়ির, পৃষ্ঠা ১৫৭)
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ