।। তালহা হাসান ।।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ জুন থেকে পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হবে। এবারের হজে ২০ লাখের বেশি লোকের অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের ১২ লাখের বেশি হজযাত্রীর আনা-নেওয়ায় ১৭৬টির বেশি বিমান থাকবে। আগামী ২১ মে মদিনার মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজের প্রথম ফ্লাইট এসে পৌঁছবে। গত ৪ মে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হজ পরিকল্পনা বিষয়ক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌদিয়া গ্রুপের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক প্রধান আমির আল-কুশাইল বলেন, ‘এ বছর হজযাত্রীদের পরিবহনের জন্য ১২ লাখের বেশি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। সৌদিয়া ছাড়াও ফ্লাইডেল ফ্লিট থেকে ১৭৬টি বিমান ব্যবহার করা হবে। হজের মৌসুমে বিশ্বের ১০০টি বিমানবন্দর দিয়ে হজযাত্রীদের পরিবহন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে এবার নতুন ১৪টি বিমানবন্দর যুক্ত করা হয়েছে।’
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
আল-কুশাইল আরো জানান, এবারই প্রথম সৌদি আরবের অভ্যন্তরে ছয়টি বিমানবন্দরের মাধ্যমে হজযাত্রীদের পরিবহন করা হবে। জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের সহযোগিতায় তা পরিচালিত হবে। জেদ্দা ও মদিনার পাশাপাশি এবার রিয়াদ, তায়েফ, ইয়ানবু ও দাম্মাম বিমানবন্দর হজযাত্রীদের সেবায় ব্যবহৃত হবে।
হজযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যময় বিমান ভ্রমণ উপহার দিতে এবার নানা উদ্যোগ নিয়েছে সৌদিয়া গ্রুপ। এর মধ্যে রয়েছে ভাষাবিষয়ক সেবা। বিমানে এমন ক্রু আছে, যারা ৪২টির বেশি ভাষায় কথা বলতে পারেন। ফ্লাইটে রয়েছে ইসলামী কনটেন্ট, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও কোরআন তিলাওয়াতসহ নানা আয়োজন। পাশাপাশি আরবি, ইংরেজি, ইন্দোনেশিয়ান ও ম্যান্ডারিন ভাষায়ও থাকবে ইসলামী অনুষ্ঠান। তা ছাড়া ১৪টির বেশি ভাষায় হজ ও ওমরাহ পালন বিষয়ক ই-বুক আছে।
সূত্র : আরব নিউজ
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ